সহিংষতার ১০ দিন পার হয়ে গেলেও আতংক কাটেনি বেলকুচি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রবিন্দু মুকুন্দগাঁতী বাজার এলাকার ব্যবসায়ীদেরসহ পাশ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণের। মিছিলের শব্দ পেলেই ৫ মিনিটের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় মুকুন্দগাঁতী বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সহশ্রাধিক দোকানপাট। প্রকাশ, গত ২৭ নভেম্বর বুধবার বেলকুচি উপজেলার থানা সদরে মুকুন্দগাঁতী বাজার এলাকায় অবরোধের পক্ষে মিছিল বের করে ১৮ দলীয় জোট। অপর পক্ষে অবরোধ বিরোধী মিছিল বের করে আওয়ামীলীগ। পুলিশ বিজিবি দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে রক্তাক্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে ১৮ দলীয় জোট ও আওয়ামীলীগ। আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় ধুকুরিয়াবেড়া গ্রামের জামাত নেতা আব্দুল জলিল (৫৫) ও মেটুয়ানী গ্রামের ছাত্রদলকর্মী মাসুম বিল্লাহ। আহত হয় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। অতিরিক্ত পুলিশ বিজিবি ও র্যাব যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বেলকুচি থানায় তিনটি মামলা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনার পর থেকে বেলকুচির মুকুন্দগাঁতী বাজারে কোন দলের মিছিল বের হলে বা ককটেল বিষ্ফোরিত হলে ৫ মিনিটের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় মুকুন্দগাঁতী বাজার এলাকার সকল দোকানপাট। আর দিনের বেলায়ও আতঙ্কগ্রস্থ অবস্থায় কোন রকমে দোকান খুলে ব্যবসা চালাচ্ছে দোকানদাররা। ১৮ দলের কর্মীদের হামলায় আতংিকিত ব্যবসায়ীরা।